এ ঘটনায় উগ্রবাদী সংগঠন 'আরসা'-কে দায়ী করেছে নিহতের পরিবার
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহতের ভাই হাবিব উল্লাহ।
ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর মোর্শেদ
তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১২৬।”
আরও পড়ুন- মুহিবুল্লা হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার নিন্দা
এদিকে, নিহত মুহিবুল্লাহর মরদেহ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুহিবুল্লাহকে দাফন করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ১৪-এপিবিএন এর অধিনায়ক মো. নাঈমুল হক বলেন, “বিকেলে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ শান্তিপূর্ণভাবে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এখনও ঘটনায় জড়িত কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংগঠনের কোন্দল থেকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।”
আরও পড়ুন- পরিবারের অভিযোগ: মুহিবুল্লাকে খুন করেছে আরসা
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর অফিসের বাইরে ৫ রাউন্ড গুলি করে। ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান।
খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘‘এমএসএফ’’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাকে গুলি করে হত্যা
মতামত দিন