প্রথম শিশুটি বাড়িতে এবং পরবর্তী চার শিশু হাসপাতালে জন্ম নেয়
রাজশাহীতে জেসমিন খাতুন (২৪) নামে এক নারী বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একসঙ্গে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু নবজাতকরা “প্রি-ম্যাচিউরড” হওয়ায় তাদের কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
জেসমিন খাতুনের মা ফুলসন বেগম এবং রামেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিদ মোস্তফা ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেসমিন খাতুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের কাবাতুল্লাহ মোল্লাটল্লা গ্রামের নির্মাণশ্রমিক শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতেই সাড়ে চার মাস বয়সী একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন জেসমিন। এরপর প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরও চারটি বাচ্চার জন্ম দেন জেসমিন। এরপর জেসমিনকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। আর চার নবজাতককে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়।
রামেক হাসপাতালে জেসমিনের মা ফুলসন বেগম জানান, এবারই প্রথম গর্ভধারণ করেছিলেন তার মেয়ে। বাড়িতে প্রথমে তার একটি মেয়ে সন্তান হয়। প্রথম নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার বাড়িতেই মারা যায়। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পর চারটি ছেলে সন্তান হয় এবং কিছুক্ষণ পরেই মারা যায়।
রামেক হাসপাতালেরর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিদ মোস্তফা বলেন, ‘‘মাত্র সাড়ে চার মাস বয়স হয়েছিল বাচ্চাগুলোর। তাদেরকে কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না। বেলা ৩টার দিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পর বিকাল ৫টার মধ্যেই বাচ্চা চারটি মারা গেছে।’’
মতামত দিন