‘গিফট ভাউচার’ বিক্রির প্রাপ্ত চেকের টাকা নগদায়ন করতে না পারায় এ মামলা দায়ের করেছে প্রতিষ্ঠানটি
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির য়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে আসামি করে চেক ডিজঅনারের ২টি মামলা দায়ের করেছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড “রঙ বাংলাদেশ”।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রঙ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
“গিফট ভাউচার” বিক্রির প্রাপ্ত চেকের টাকা নগদায়ন করতে না পারায় ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলা দায়ের করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৮৮১ সালের দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট-এর ১৩৮ ও ১৪০ ধারায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলা দুটি আমলে নিয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের প্রতি সমন জারি করেন আদালত ।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি কি তবে পঞ্জি ব্যবসা?
এ প্রসঙ্গে রঙ বাংলাদেশ জা, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ চেক দিয়ে গিফট ভাউচারগুলো রঙ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে ক্রেতাসাধারণকে পাঠালেও এর সিংহভাগ পেমেন্ট ক্লিয়ার করেনি। এই বিষয়ে অনেকবার যোগাযোগ করলেও ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ সন্তোষজনক উত্তর দেয়নি এবং পেমেন্ট পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ধরনের টালবাহানার মাধ্যমে কালক্ষেপণ করেছে। উপরন্তু রঙ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ইভ্যালি থেকে প্রাপ্ত চেকের টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবগুলোতে নগদায়ন করতে উপস্থাপন করলে জানা যায় তাদেরকে একটি বন্ধ ব্যাংক হিসাবের চেক দেওয়া হয়েছে। আর অন্য চেকগুলো পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে ডিজঅনার হয়।
চেকের বিপরীতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা নগদায়ন না করায় গিফট ভাউচারগুলো ব্যবহার করে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে দিতে পারছে না।
পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি সুরাহা হওয়া মাত্র রঙ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ গিফট ভাউচারগুলো সচল করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি টাকা না দেওয়ায় ভাউচারে পণ্য সরবরাহ বন্ধ
ক্রেতার অসুবিধা-অসন্তুষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রঙ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কাছে ক্রেতারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেতার বিশ্বাসের জায়গাটা অটুট রাখতে এই বিষয়ে তারা আশু সামাধান চায় এবং সেজন্য এই সমস্যার সমাধানে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে।
মতামত দিন