পুলিশ বা পরিবারের কেউই তার আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেনি
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায় অমিতোষ হালদার নামে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। অমিতোষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ কিংবা স্বজনদের কেউ তার আত্মহত্যার কারণ জানাতে পারেনি।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সাহাপুর ইউনিয়নের পাটিকেলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অমিতোষ হালদারের বাবা ভুপেন হালদার বলেন, ‘‘বুধবার রাতে সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর নিজের রুমে ঘুমাতে যায় অমিতোষ। গভীর রাতে আমরা ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে বাইরে যায় সে। এরপর কোনো এক সময় বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে একটি মেহগনি গাছের ডালে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।’’
‘‘ভোর সাড়ে ৫টায় আমরা ঘুম থেকে জেগে বাইরে বের হতে গেলে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পাই। তখন দেখি অমিতোষ ঘরে নেই। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে খুঁজতে বের হলে তার দেহ মেহগনি গাছের ডালে ঝুলতে দেখি। তখন আমাদের চিৎকার শুনে অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মরদেহ গাছ থেকে নামায় এবং পুলিশে খবর দেয়।’’
তিনি জানান, এক মাস আগে অমিতোষ রাজধানী থেকে বাড়িতে আসে। তখন থেকেই তার মন ভালো ছিল না। কোনো ঘটনায় সে হয়ত মর্মাহত ছিল। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে তার পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। ঢাকায় যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে অমিতোষ ব্যাগও গোছায়।
তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি তিনি।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জর পৌর শ্মশানে এই জবি ছাত্রের মরদেহ দাহ করা হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার আত্মহত্যার কোনো কারণ এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পারিনি। পারিবারিক সূত্রে জানতে পেরেছি, গত এক মাস ধরে সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। তবে এবার সে আগের মতো উৎফুল্ল ছিল না বলেও আমরা জেনেছি।’’
মতামত দিন