আনভীরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন আদালত
কলেজছাত্রী মোসাররাত জাহান মুনিয়ার মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বছরের এপ্রিলে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন তার বড় বোন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার শুনানিতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখে এ তথ্য জানান। শুনানি শেষে মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে দেন হাইকোর্টে।
তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে আনভীরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত।
আনভীরের আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন যুক্তি উপস্থাপন করতে গেলে আদালত তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বলছে তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা একজন অভিযুক্তের (আনভীরের স্ত্রী) জামিন মঞ্জুর করছি।
আরও পড়ুন- মুনিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: আগাম জামিন মেলেনি আনভীরের
এরপর আদালত শুনানি শুরু করেন এবং আনভীরের আইনজীবীকে ভিন্ন একটি পিটিশন দায়ের করতে বলেন।
২৬ এপ্রিল পুলিশ গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ২১ বছর বয়সী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মুনিয়ার বড় বোন গত ৬ সেপ্টেম্বর আনভীরকে আসামি করে ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেন।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই এ ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
আগস্টের ১৮ তারিখে ঢাকার আদালত আনভীরকে মুনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তার ছেলে আনভীরসহ আটজনকে আসামি করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা করেন।
আদালত এই অভিযোগের তদন্তভার দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
মতামত দিন