হলে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত এক ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকতে হবে
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আবাসিক হল আগামী ৭ অক্টোবর থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। হলে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত এক ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুবের সভাপতিত্বে ২৪তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- প্রথম দফায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সম্মান চতুর্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা হলে উঠবে। পরে ২০ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দেওয়া হবে। হলে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র এবং হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র থাকতে হবে। শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষার হলে অবশ্যই সব শিক্ষার্থীকে মাস্ক পরতে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব মেনে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ প্রায় ৫৬০ দিন পর হলে ফেরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং শেখ রাসেল হলের আবাসিক স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আবু জাহিদ বলেন, “হলের অধিকাংশ আবাসিক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। আমরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠতে প্রস্তুত আছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা হল খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ নয়টি বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে সুপারিশ করেছি।”
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে বশেমুরবিপ্রবির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে আবাসিক হলগুলো।
মতামত দিন