২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক মাহফিলের আয়োজক ও অতিথিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে
কুমিল্লার চান্দিনায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত মাহফিলে অংশগ্রহণ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী কুমিল্লায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌনে ১২টায় কুমিল্লার ৭নং আমলী আদালতে তারা হাজিরা দেন। ১০ মিনিটের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর আদালতের বিচারক ইরফানুল হক চৌধুরী এ মামলায় আগামী ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুরুল ইসলাম বিষয়টি ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে, মামুনুল হককে আদালতে তোলার সংবাদে উৎসুক জনতার ভিড় তৈরি হয়। পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করে। পরে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মামুনুল হক ও খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে হাজিরার জন্য আদালতে তোলেন। পরবর্তীতে আবারও আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদেরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে সড়কপথে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। বর্তমানে তারা এখানেই রয়েছেন।
কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, “কুমিল্লার চান্দিনায় একটি মামলাসহ কুমিল্লায় করা একাধিক মামলার আসামী হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। কুমিল্লা আদালতে মামলার হাজিরা থাকায় গত শুক্রবার মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লার কারাগারে আনা হয়।
উল্লখ্য, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এক মাহফিলের আয়োজক ও অতিথিদের বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এছাড়া, ওই মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মতামত দিন