ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দুই হাত বাঁধা এবং গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার টিকেট গ্রামের একটি সবজি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত শিক্ষার্থী গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে পড়ত।
নিহতের বাবা জানান, তার দুই মেয়ে বাইসাইকেলে করে একই সঙ্গে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করত। ক্লাস শেষে দুই বোন একই গ্রামের দেবদাস ঢালীর কাছে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত এবং রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে আসত।
নিহতের ছোট বোন জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোনের সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে বের হয় তারা। কিন্তু পথিমধ্যে হঠাৎ বোনকে আর দেখতে না পেয়ে স্যারের বাসায় গিয়ে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ি ফিরে আসে।
এদিকে, রাত ৯টায়ও ওই শিক্ষার্থী ফিরে না এলে তার বাবা ও স্থানীয়রা খুঁজতে বের হয়। কিন্তু সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী শিবপদ মন্ডলের ছেলে পার্থ মন্ডলের সঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পার্থই তাকে মোবাইল ফোনে ডেকেছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, নিহতের দুই হাত বাঁধা ছিল এবং গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে নিহত শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ফোন থেকে কয়েকটি মেসেজ ও কল লিস্ট যাচাই করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মতামত দিন