প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত এক পর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে আত্মগোপনে থাকেন
ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে শাওন আমিন নামে এক ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে ভিডিও দেখে নির্যাতনের অভিযোগে শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ভাঙবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শাওন আমিন নামে এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এসময় নেটিজেনরা নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানান, একই এলাকার করিমুলের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। পরে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে পরিবারকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে আত্মগোপনে থাকেন। এদিকে মেয়ের পরিবার থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিয়ে মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ছেলের পরিবার ভীত হয় এবং ছেলেকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানায়। মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ছেলেও মেয়েকে পরিবারের কাছে দিয়ে আসে।
পরে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান ওই যুবক। তখনই মেয়ের বাবা-মা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করতে থাকেন। ওই যুবক চিৎকার করে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান, বারবার ক্ষমা চান। তবুও তাকে মারধর করতে থাকে মেয়ের পরিবার। শেষে পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে যুবককে।
শুক্রবার দুপুরে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দৃশ্যমান প্রত্যক্ষ নির্যাতনকারী ছেলেটির শাশুড়ি সেলিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ ইকবাল বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেটিকে উদ্ধার করে রাণীংশকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
মতামত দিন