মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে
রাজশাহীতে বাস যাত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মহানগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার শিরোইল টার্মিনাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এ আদেশ জারি করেন। মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুহুল কুদ্দুস ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রুহুল কুদ্দুস বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে দুই নারী বাস যাত্রীকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে থেকে এক লাখ টাকা নেওয়া হয়। বিকেলে পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। ওই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে শিরোইল বাস টার্মিনাল বক্সের ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত ছয়জনের মধ্যে দুইজন কর্মকর্তা ও চারজন কনস্টেবল। দুই কর্মকর্তা হলেন, শিরোইল টার্মিনাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এটিএসআই নাসির উদ্দিন ও এএসআই সেলিম।”
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা থেকে দুইজন নারী বৃহস্পতিবার সকালে বাসযোগে রাজশাহীতে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। তারা শিরোইল বাস টার্মিনালে নামার পর পরই এটিএসআই নাসিরসহ বক্স পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে। এরপর ওই দুই নারীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখানোর হুমকি দেন ওই পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তারা ভুক্তভোগীদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে ওই দুই নারী তাদের পরিবারকে বিষয়টি জানান। এরপর পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেয় পুলিশকে। এছাড়াও তাদের দুই জনের কাছে থাকা নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ওই দুই নারীর পরিবারের সদস্যরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর রাতে এটিএসআই নাসিরসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, “মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা বিকাশ আদায় এবং সাড়ে চার হাজার টাকা নগদ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুই নারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।”
মতামত দিন