এই সহায়তা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্য সেবার কাজে ব্যয় করা হবে
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সংকট মোকাবেলায় মিয়ানমারের ভেতরে এবং বাইরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে প্রায় ১৮ কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “এই সহায়তা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্য সেবার কাজে ব্যয় করা হবে।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তু চ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। বাংলাদেশ ও সে দেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশাল দায়িত্ব পালন করছে।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস লিন্ডা বলেন, “গত কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গারা নির্মম নিষ্ঠুরতা যেমন- নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা, অগ্নি সংযোগের শিকার হচ্ছে। আমরা মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার জন্য সে দেশের সামরিক জান্তার উপর চাপ অব্যাহত রেখেছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে টেকসই সমাধানের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।”
তিনি বলেন, “প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। আমরা রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা এড়িয়ে যেতে পারি না।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আপনারা যদি ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন তাহলে আমরা আপনাকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাবো। যদি আপনারা এখনো রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কোন অবদান না রেখে থাকেন তাহলে এখনই উপযুক্ত সময় আমাদের সাথে যোগ দেয়ার।”
বাংলাদেশের সৌজন্যে আয়োজিত “হাই লেভেল সাইড ইভেন্ট অন ফোর্সিবলি ডিসপ্লেসড মিয়ানমার রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: ইমপারেটিভ ফর এ সাসটেইনেবল সলিউশনস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মতামত দিন