লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শ্রীপুর থানা পুলিশ
ষাটোর্ধ বৃদ্ধা বাবা-মার ওপর নির্যাতনের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মা নিজেই। লিখিত অভিযোগটি দেওয়ার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শ্রীপুর থানা পুলিশ। ঘটনাটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীপুর থানায় ছেলে আব্দুর রউফকে (৩০) অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন বৃদ্ধ মা আনোয়ারা।
অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং থানায় লিখিত অভিযোগের কথা জানতে পারায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ছেলে আব্দুর রউফ।
নিজ সন্তানের নির্যাতনের বিচার চাওয়ার ১০ দিন পরও পুলিশের সহায়তা না পেয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা আক্ষেপ করে বলেন, “আমার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হকের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করলে আমার পরিচয় দেওয়ার পর ফোনটি কেটে দেয়।”
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ছেলে আব্দুর রউফ তার মায়ের প্রতি অহেতুক গালিগালাজ শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে সে তার মাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় বৃদ্ধা আনোয়ারা চিৎকার শুরু করলে সে তার মাকে চেয়ারের ওপর বসিয়ে খাটের সাথে বেঁধে মুখে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, “আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) থানায় আইছি বিচার চাইতে। ছেলের অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় তার নির্যাতনে আমার বাম হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করতে পারছি না।”
নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী মোসলেম উদ্দিন বলেন, “ছেলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধোর করে এবং খুন করার হুমকি দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে থানায় আসছি। অভিযোগ দেওয়ার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং ঘটনাস্থলেও যায়নি। ছেলের অত্যাচার নির্যাতনের বিচার না পেলে বুড়া-বুড়ির আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।”
অভিযুক্ত ছেলে আব্দুর রউফের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকার যোগাযোগ করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে তারা তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলেই পারে।”
মতামত দিন