লুট হওয়া ২০টি স্বর্ণের বারের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর ২০টি স্বর্ণের বার লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফেনী থেকে পুলিশের এসআই ফিরোজ আলম (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো আব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেনী পুলিশ ব্যুরো আব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযান চালিয়ে ফিরোজকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মনপুরায় গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার দুপুরে তাকে ফেনী সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালত হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেলা কারাগারে প্রেরন করার নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অভিযুক্ত ফিরোজ আলম এসআই হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত। ব্যবসায়ীর স্বর্ণ লুটের সংশ্লিষ্টতায় তার নাম আসার পর অসুস্থতার ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান ফিরোজ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ফেনীর ফতেহপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের গাড়ির গতি রোধ করেন ফেনী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা। ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আটকে রেখে গোপালের সঙ্গে থাকা ২০টি স্বর্ণের বার লুট করা হয়।
এ ঘটনায় ১০ আগস্ট ফেনী মডেল থানায় ডিবির পরিদর্শক সাইফুল ইসলামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতির মামলা করেন ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাস।
লুট হওয়া ২০টি স্বর্ণের বারের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৪ হাজার ৫৯৭ টাকা উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের আদেশে ফেনী থানা থেকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই রাতেই ফেনী পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডিবির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন, নুরুল হক ও মিজানুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের বাসা থেকে ১৫টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। বাকি পাঁচটি বার এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
মতামত দিন