মাদ্রাসাটির নয় বছরের ওই ছাত্রকে র্দীঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক রমজান আলী
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় একটি মাদ্রাসার ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ তিনি শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিন শিক্ষক হলেন, উপজেলা চান্দহর ইউনিয়নের আলীনগর-ওয়াইজনগর মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষ মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবদুল আউয়াল ও ক্বারী সাইফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকের নাম মো. রমজান আলী। তার বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামে। তিনি মাদ্রাসাতে থাকতেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসাটির নয় বছরের ওই ছাত্রকে র্দীঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক রমজান আলী। তিনি মাদ্রাসাতেই একটি কক্ষে থাকতেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় নিজ কক্ষে ঢেকে নেন রমজমান আলী। এরপর শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। পরে তিনি ঘটনাটি কাউকে জানাতে শিশুটিকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তবে পরে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক রমজান আলী পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।এরপর রাতেই অধ্যক্ষকসহ তিন শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী শিশুটি দাদী বাদি হয়ে শিক্ষক রমজান আলীকে প্রধান করে থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে পালাতে সহযোগিতায় করায় গ্রেপ্তার তিনজনকেও আসামি করা হয়েছে।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, “গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
মতামত দিন