বাংলাদেশ সরকার চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭.২%
চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৮% হবে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রকাশ করে এডিবি। সেখানেই প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত এ পূর্বাভাস করা হয়েছে।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭.২% পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সেই পূর্বাভাসে পরিবর্তন এনে প্রবৃদ্ধির হার কমে ৬.৮% হতে পারে বলে নতুন করে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। ম্যানুফ্যাকচারিং শক্তিশালীকরণ, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অব্যাহত সম্প্রসারণ এবং সরকারের কার্যকর পুনরুদ্ধারের নীতির ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অর্থবছর শেষে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫.৮ % হতে পারে, জিডিপির ঘাটতি হবে ০.৬%।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭.২%।
করোনাভাইরাস মহামারির ক্রমাগত উদ্বেগের মাঝে এডিবির প্রতিবেদনে উন্নয়নশীল এশিয়ার ২০২১ সালের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে দেখানো হয়েছে। এডিবির প্রধান অর্থনৈতিক প্রকাশনা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২১-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৭.১%। এছাড়া, মূল্যের চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, “জীবিকা রক্ষায় জীবন বাঁচানোর জন্য সরকারের নীতিগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে, যা সাম্প্রতিক কঠিন সময়ে প্রশংসনীয়। কঠিন এই সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, প্রণোদনা এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির দক্ষ বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে এ অবস্থায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, দ্রুত টিকা দেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের উন্নতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে।”
প্রসঙ্গত, উন্নয়নশীল এশিয়ায় চলতি বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ২.২% এবং ২০২২ সালে ২.৭% থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক পণ্য এবং খাদ্যসামগ্রীর বর্তমান উচ্চমূল্যের প্রবণতা বজায় থাকলে, এই অঞ্চলের কিছু দেশে মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টায় এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংস্থাটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬৮, যার মধ্যে ৪৯ টি দেশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত।
মতামত দিন