বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আবেদনটি এজাহার হিসেবে রেকর্ডের জন্য ধানমন্ডি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এবার ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন এক গ্রাহক।
মুজাহিদুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি করেন। সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আবেদনটি এজাহার হিসেবে রেকর্ডের জন্য ধানমন্ডি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ রহমান জানান, বাদী মুজাহিদুর রহমান ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের কাঠের তৈরি একটি টি টেবিলের জন্য গত বছর ১১ জুলাই টাকা পরিশোধ করেন। পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা করেননি আসামি রাসেল ও শামীমা।
মামলায় বাদীর দাবি, পণ্য না পেয়ে তিনি রাসেলকে আইনি নোটিশ পাঠান। পরে ইভ্যালি টেবিলের টাকা পরিশোধ করলেও এসির বিষয়ে কোনো সমাধান করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানার মামলায় রাসেলকে এক দিন রিমান্ড এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানার মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
১৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির চেয়ারম্যান রাসেল, তার স্ত্রীসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন কামরুল ইসলাম চোকদার নামে এক পণ্য সরবরাহকারী। এর আগে আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মতামত দিন