ইভ্যালি সিইও পুলিশকে বলেছেন, তিনি আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না
গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল।
এক গ্রাহকের করা প্রতারণা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের শেষ দিন সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাসেল পুলিশকে বলেন, তিনি আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণ করা যাবে না।
মামলার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের অনলাইন ভার্সন।
আরও পড়ুন- ধামাকাও কি আরেক ইভ্যালি?
রিমান্ডে রাসেল পুলিশকে বলেন, “আমি কোনো ভুল করিনি। হ্যাঁ, আমি যে ভুলটি করেছি তা হলো পণ্যে উচ্চ ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, এমন তো না যে কেউ তাদের পণ্য পায়নি। অনেক গ্রাহক পেয়েছে।”
রাসেল এ সময় আরও বলেন, “এখন সবাই জিজ্ঞাসা করছে আমি এত টাকা দিয়ে কী করেছি। ছাড় মূল্যে পণ্য বিক্রি ছাড়া বিজ্ঞাপনেও অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবুও, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব, যদি আপনারা পারেন তাহলে আমি বিদেশে অর্থ পাচার করেছি কি-না তা খুঁজে বের করুন।”
আরও পড়ুন- সস্ত্রীক গ্রেপ্তার ইভ্যালির রাসেল
তদন্তকারীদের কাছে রাসেল জানান, গ্রাহকদের কাছে ইভ্যালির দায় ৭০০ কোটি টাকা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ২৫০ কোটি টাকা।
তবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, রাসেল গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম প্রাপ্ত অর্থের অপব্যবহার বা পাচারের বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে বেশি কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন- হাইকোর্ট: গ্রাহক নিঃস্ব হওয়ার পর সরকার পদক্ষেপ নেয়
এদিকে, পুলিশ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দেশ এবং দেশের বাইরে থাকা সম্পদের তথ্যও খুঁজছে।
উল্লেখ্য, তিন দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার গুলশান থানার পুলিশ রাসেল ও তার স্ত্রীকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মতামত দিন