ভাঙা সেতুর কারণে সময়মতো হাসপাতালে রোগী নিতে পারায় ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও
এক বছর আগে বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙে যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় খালের পর ওপর নির্মিত একটি সেতু।মেরামত না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে ওই এলাকার মানুষ। নিয়মিত যাতায়াতের পাশাপাশি কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিপাকে পড়ে এলাকাবাসী।ভাঙা সেতুর কারণে সময়মতো হাসপাতালে রোগী নিতে পারায় ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও।
দফায় দফায় যোগাযোগের পরও কর্তৃপক্ষ সেতুটি নির্মাণে উদ্যোগ না নেওয়ায় এলাকার মানুষের চলাচলের দুরাবস্থার কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেতুটি মেরামত করেছেন পিরোজপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। যার ফলে সেতুটি থেকে এখন লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছে।
আমিরুল ইসলাম মিরন বলেন, “বাঁশবাড়িয়া খালের উপর থাকা ৯৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সেতুটি বালুবাহী ট্রলারের ধাক্কায় এক বছর আগে ভেঙে যাবার পর পরই আমি পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউলকে জানাই। এরপর মন্ত্রীর নির্দেশে পিরোজপুর এল জি ই ডির কর্মকর্তারা সরজমিন পরিদর্শন করেন।সে পর্যন্তই শেষ; আর কোনো অগ্রগতি দেখিনি”
তিনি আরও বলেন, “কয়েক মাস আগে আমার ভাই পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল ও এলাকার আরেকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে নিতে পারিনি। সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো তারা মারা যেত না।”
ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেতুটি মেরামত ছাড়াও নিজস্ব তহবিল থেকে সেতুর নিকটবর্তী আশ্রাফিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ মেরামত করেছেন তিনি।
সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হাওলাদার বলেন, “হরিনা, গাজীপুর, কালিকাঠী, খামকাটা, বাঁশবাড়িয়া এলাকার লোকজন এ সেতু পার হয়ে পিরোজপুর শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় যায়। বেহাল থাকায় লোজনের চলাচলে দূরাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।”
পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী হরষিত সরকার বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাবার পর মাননীয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশে পিরোজপুর এলজিই ডির তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ বিষয়ে ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে।অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করার পরে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে”
মতামত দিন