‘তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, “অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে যারা ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারণার সাথে জড়িত। তারা বাজারের দামের চেয়ে কম দামে গ্রাহকদের পণ্য দিবে বলে প্রতারণা করছে।”
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এর অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাফিজ বলেন, “এ ধরনের প্রতারকদের বেশি বেশি ধরা হলে ধীরে ধীরে প্রতারণা কমে আসবে। আমরা চাই দেশে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সমৃদ্ধ হোক।”
ইভ্যালির গ্রাহক আরিফ বাকের নামে একজন ভুক্তভোগী গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অর্থ আত্মসাৎ ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অপরাধ শাখা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের দ্বারা পরিচালিত সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার জন্য ২৭ আগস্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একটি সাধারণ চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগ ইভ্যালির দ্বারা “প্রতারণা” করার অভিযোগ পেয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা ভোক্তাদের প্রতিষ্ঠানটির ই-ওয়ালেটে টাকা জমা দিতে বাধ্য করত, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
মতামত দিন