র্যাব বলছে, ‘ব্যবসায়িক অপকৌশল’ হিসেবে তিনি নতুন গ্রাহকদের ওপর দায় চাপিয়ে পুরনো গ্রাহকদের আংশিক অর্থ কিংবা পণ্য ফেরত দিতেন
র্যাব জানিয়েছে, জেনে-শুনেই নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজিতে ব্যবসায় নেমেছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ব্যবসা বাড়াতে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আইটেম নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি ইভ্যালির মাধ্যমে মোবাইল সেট, টিভি, ফ্রিজ, এসি, মোটরবাইক এমনকি গাড়িও বিক্রি করেছেন। মূল্যছাড়ের অফারে এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি বিশাল আকারের দায় দেখা দেয়।
আরও পড়ুন- র্যাব: গ্রাহক-মার্চেন্টদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না ইভ্যালির
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘‘ব্যবসায়িক অপকৌশল’’ হিসেবে নতুন গ্রাহকদের ওপর দায় চাপিয়ে পুরনো গ্রাহকদের আংশিক অর্থ কিংবা পণ্য ফেরত দিতেন। দায় ট্রান্সফারের এই দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হয় দায় তত বাড়তে থাকে।
‘‘জেনে-শুনেই নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণের করার’’ বিষয়টি র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন রাসেল।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের আলোকে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে সস্ত্রীক মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন এক গ্রাহক।
মতামত দিন