আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রতারক প্রেমিক
বগুড়ার শেরপুরের গার্মেন্টসকর্মীকে (২৬) প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মনির হোসেন (২৯) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের সাইবার টিম মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর বড়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন হাসানের আদালতে মনির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ওই তরুণী তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, মনির হোসেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানার সিকিউরিটি গার্ড। বগুড়ার শেরপুরের স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের মা ওই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত এপ্রিলে দেখার পর মনির ওই নারীকে পছন্দ করেন। এরপর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে মিথ্যা পরিচয়ে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে কৌশলে ওই নারীর কাছ থেকে নগ্ন ভিডিও নেয়। এরপর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। ২০ হাজার টাকা দিলে ছবি ডিলিট করে দিবেন বলে জানিয়ে দেন।
ওই নারী লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করলেও সন্তানের জন্য ব্যর্থ হন। বাধ্য হয়ে তিনি তিন দফায় সিকিউরিটি গার্ড মনির হোসেনকে আট হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে মনির আরও টাকা দাবি করলে তিনি বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক মনিরের অবস্থান নিশ্চিত হন। মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের বড়ারী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে একটি স্মার্ট ফোন ও চারটি সিম পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ওই নারী বুধবার সকালে শেরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। বগুড়া আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির অপরাধ স্বীকার করেন।
মতামত দিন