৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল খুলে দেওয়াসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা
সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখের মধ্যেই ক্যাম্পাস খোলা তারিখ ঘোষণা এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল খুলে দেওয়াসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন, পরিবহন চত্বর ঘুরে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের অপর দাবিটি হল- বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে টিকার বুথ স্থাপন করে সকল শিক্ষার্থীর ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা জানি ইউজিসি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে টিকা গ্রহণের তথ্য চেয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য পাঠায়নি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না হলে আমরা বুঝে নেবো ভ্যাক্সিন কোনো ইস্যু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার অন্য কোনো কারণ আছে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তারিখ ঘোষণা করা না হলে কঠোর অন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, “৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা আবাসিক হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে উঠব। এ জন্য আপনারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হলে উঠতে না দিলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাব। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে হলে অবস্থান করছেন অথবা অন্তত হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের কোন সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও উদ্যোগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। শিক্ষার্থীদেরকে এক নিদারুণ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “আজ বিকেলে (গতকাল) প্রশাসনিক মিটিং আছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। শিগগির সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তবে তার আগে আমাদের কিছু প্রস্তুতির দরকার আছে।”
মতামত দিন