প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন
বগুড়ায় সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অন্তত ৯০লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানীর সদস্যরা শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছে থাকা তাদের কাছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিডি, একটি পিসি, ৫৮টি সিমকার্ড, সাতটি পেনড্রাইভ, দুটি হার্ডডিক্স জব্দ করা হয়।
ভুক্তভোগীদের পক্ষে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গ্রেপ্তার প্রতারকরা হলেন-বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার স্বর্গপুর হাজীপাড়ার মুনছুর আলী মন্ডলের ছেলে মেহেরুল ইসলাম (৩৩) ও একই উপজেলার রেলকলোনী তালোড়া বাজার এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে কামরুল হাসান (২৯)।
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল হাসান গণি রবিবার দুপুরে বগুড়া স্পেশাল কোম্পানীতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি প্রতারক চক্র সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় ভর্তি/চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্র ওইসব সংস্থা ও বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা সেজে মোবাইল ফোনে কথা বলেন ও চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভুয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠান।
তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করেন। চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা ভুক্তভোগীদেরকে হুমকি দিয়ে থাকেন।
টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ায় একাধিক ভুক্তভোগী র্যাব-১২বগুড়া স্পেশাল কোম্পানীতে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে র্যাব সদস্যরা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালান। সেখান থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য মেহেরুল ইসলাম ও কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে এরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
মতামত দিন