কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোটি টাকার জমি প্রতারণার মাধ্যমে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোটি টাকার জমি প্রতারণার মাধ্যমে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্কুল কমিটি মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) অভিযোগের শুনানি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, “এটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় লোকজন স্কুলকে কিছু জমি দান করেন। স্কুলের নিচু জমিতে মাছ চাষ করা হয়। তার অর্থ স্কুল ফান্ডে জমা হয়। নিচু জমিতে কয়েক বছর ধরে পাশের চান্দিনা উপজেলার তীরচর গ্রামের কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি চুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ করে আসছেন। সম্প্রতি শুনতে পেরেছি, কবির হোসেন স্কুলের ৭০ শতক জমি ও স্কুল সংলগ্ন দড়ানিপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের আট শতক জমি নকল বিএস রেকর্ড করে দলিল করেন। এখন দখলের চেষ্টা করছেন। আমরা এনিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে যাবো।”
স্কুলকে জমি দান করা পরিবারের সদস্য আবদুল গফুর বলেন, “কবির হোসেন আমাদের জমি অন্যের কাছ থেকে জাল কাগজ তৈরি করে নিয়ে গেছে। তার প্রতারণার বিচার চাই।”
দলিল দেওয়া পাশের আসাদপুর গ্রামের খলিলুর রহমান জানান, তারা দলিল দেননি। তাদের জমি নাকি খলিলদের খতিয়ানে উঠে গেছে। সেটি ফেরত দিতে তাদের সই নিয়েছে। তারা লেখাপড়া জানেন না। পরে জানতে পারেন স্কুল এবং অন্যের জায়গা তারা বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, “ওইখানে তাদের কোন জায়গা নেই। এজন্য আমাদের জোর করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। আমরা যদি সাফ কবলা দলিল দিতাম, তার মূল্য পেতাম কোটি টাকার উপরে।”
অভিযুক্ত কবির হোসেন বলেন, “আমি সঠিক কাগজ দেখে জমি কিনেছি। এখানে কোন প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়নি।”
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বলেন, “গোমতা স্কুলের জমি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল কমিটিকে বলেছি, বিএস রেকর্ড সংশোধন করতে আদালতে যেতে।”
মতামত দিন