নিজের ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি চালিয়ে আইন ভঙ্গ করেছেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক মেহেদী ইকবালকে সহকারী প্রক্টর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২৮ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত এ সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণী থেকেও এ তথ্য জানা গেছে।
ওই কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগে দেখা যায়, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন শৃঙ্খলার সুরক্ষার লক্ষ্যে সহকারী প্রক্টর ও ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি নিজের ১০ থেকে ১২ বছরের ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিজেই আইন ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি সিন্ডিকেটে বিস্তারিত আলোচনার পর তাকে সহকারী প্রক্টর ও ওয়ার্ডেনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতির এই আদেশ সিন্ডিকেটের দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট থেকেই কার্যকর হয়েছে।
এ বিষয়ে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক মেহেদী ইকবাল বলেন, “মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। এ ব্যাপারে আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
এর আগে গত ৩১ জুলাই মেহেদী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিতভাবে হয়রানির অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জহুরুল হক।
ওই অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ঘটনার দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল স্টাফ কোয়ার্টার থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ স্কুটি চালিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় উপাচার্যের বাসভবনের কাছে পেছন থেকে একটি গাড়ি বারবার হর্ন দিলে তিনি গাড়িটি চলে যাওয়ার সংকেত দেন। এরপর গাড়িটি ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে হঠাৎ থেমে যায়। এসময় দেখি, ১২ থেকে ১৩ বছরের একটি ছেলে (মেহেদী ইকবালের ছেলে) ওই গাড়িটি চালাচ্ছে। পরে ছেলের পরিবর্তে মেহেদী ইকবালকে গাড়িটি চালাতে অনুরোধ করি। তখন তিনি উগ্র ও মারমুখী আচরণ করেন।” এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেন জহুরুল। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মেহেদী ইকবালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন