নিম্ন আদালতে জামিন না হওয়ায় উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) তার জামিন চাওয়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে যে কথিত ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, সেই “পোস্টদাতা” ঝুমন দাস এখনও সুনামগঞ্জ জেলহাজতে বন্দি।
ঝুমন দাসের আইনজীবী ও সুনামগঞ্জ জেলা বারের সদস্য দেবাংশু শেখর তালুকদার ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, নিম্ন আদালতে জামিন না হওয়ায় উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) তার জামিন চাওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ তার মামলার বিষয়টি দেখছে বলে জানান তিনি। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিমের পক্ষ থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটির এজাহারে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ শাল্লা উপজেলার পার্শ্ববর্তী দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলনে বক্তব্য রাখে সাবেক হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
পরদিন ১৬ মার্চ সকাল প্রায় ১০টায় নোয়াগাঁও এর তার নিজস্ব নামের ফেসবুক আইডিতে মামুনুল হকের ছবিসহ কিছু লেখা “পোস্ট করেন” ঝুমন দাস।
ওইদিন রাত ৮টার দিকে “অশালীন, আপত্তিকর ছবি ও লেখা পোস্ট” করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আক্রমণের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ রওনা দেয় ঝুমন দাসের গ্রামের পার্শ্ববর্তী শাল্লা থানার কাশিপুর, দিরাই থানার চন্ডিপুর, সন্তোষপুর ও নাচনী গ্রামের বাসিন্দারা । খবর পেয়ে শাল্লার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সশরীরে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
“স্ট্যাটাসদাতা” ঝুমন দাসকে ১৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০ টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরবর্তীতে জেল হাজতে পাঠানো হয় তাকে।
মতামত দিন