চিকিৎসক না থাকায় এক নার্স ডেলিভারি অপারেশন তদারকি করেন বলে অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় একটি হাসপাতালে প্রি-ম্যাচিওর দুই ছেলে নবজাতকের (সময়ের আগেই জন্ম নেওয়া) ভূমিষ্ঠের দেড় ঘণ্টা পর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত শিশু দুটির স্বজনরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় এক নার্স শিশু দুটির মাকে ডেলিভারি অপারেশন করান।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সানারপাড় এলাকার হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু দুটির মায়ের নাম মাহিনূর বেগম (২৫)। তার বাড়ি ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকায়।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মাহিনূর বেগম মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ প্রসব বেদনা অনুভব করেন। স্বজনরা তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ সানারপাড় এলাকার হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। ওই মুহূর্তে সেখানে কোনো চিকিৎসক না থাকায় আমেনা নামে এক নার্সের তত্ত্বাবধানে মাহিনূর বেগমের সন্তান প্রসব করানো হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসা ও সঠিক পদক্ষেপের অভাবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই শিশু দুটি মারা যায়।
তাদের বাবা মোহাম্মদ শাহ্ আলম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, অনুমতি না নিয়ে আমার স্ত্রীর ৬ মাসের অন্তঃস্বত্বা থাকা অবস্থায় ডেলিভারি করা হয়। ডেলিভারির পর আমরা যথন জানতে পারি তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দেড় ঘণ্টার মতো বাচ্চাদের ওই হাসপাতালেই রেখেছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আমাদের জানানো হয় বাচ্চা দুটি মারা গেছে।
হেলথ কেয়ার আধুনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক আবুল বাশার নার্স দিয়ে ডেলিভারি করানোর বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মাহিনূর ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিল বলে তাদের অনুমতি নিয়েই ডেলিভারি কার্যক্রম সম্পন্ন করানো হয়। তবে কোনো নার্স দিয়ে নয় অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে কাজটি করানো হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাজেদা বেগম ও অভিযুক্ত নার্স আমেনার নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুজ্জামান জানান, নবজাতকের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
মতামত দিন