অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২ মাস পর ভবনের চতুর্থতলা থেকে দুটি মাথার খুলিসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ও কঙ্কাল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ২ মাস পর ভবনের চতুর্থতলা থেকে দুটি মাথার খুলিসহ মানবদেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ও কঙ্কাল উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বিকেল থেকে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ হয়ে নিহত শ্রমিকদের আর কোনো মরদেহ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভবনটিতে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি।
মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, “দুটি মাথার খুলিসহ মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না এখানে কতগুলো মানুষের মানবদেহের কঙ্কাল আছে। তবে দুটি খুলি পাওয়া গেছে সেটা দেখে আপাতত নিশ্চিত যে এখানে দুটি মানুষ রয়েছে।”
বিষয়টি নিশ্চিত সিআইডি’র পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, ৩ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তল্লাশি করতে গেলে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: ৪৮ জনের পরিচয় শনাক্ত
উদ্ধারকৃত অংশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানার ছয়তলার একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ৫২ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিহত হয়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকসহ তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ৯ জুলাই অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় শনিবার রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিন দুপুরেই রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে কারখানার চেয়ারম্যান এমএ হাশেমসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৭ জুলাই মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডের হটস্পটে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ
মতামত দিন