মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় মাঠে যা ঘটল, তা যেন হার মানায় যেকোনো শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমাকেও
মাঠে তখন কেবলই শুরু হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মহাসমীরণ। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনায় যেন জল ঢেলে দিল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় মাঠে যা ঘটল, তা যেন হার মানায় যেকোনো শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমাকেও। ফলশ্রুতিতে মুহূর্তেই স্থগিত হয়ে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হাই-ভোল্টেজ এ ম্যাচটি।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লাতিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল এক টুইটে জানিয়েছে, ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই ম্যাচটি স্থগিত করে দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।
ওই টুইটে বলা হয়েছে, “ম্যাচ রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির কাছে এ নিয়ে প্রতিবেদন দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এই প্রক্রিয়া বর্তমান নিয়ম দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেই এগোবে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব ফিফার প্রতিযোগিতা। এ ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত ক্ষমতা আছে কেবল ওই প্রতিষ্ঠানেরই।”
ঘটনার শুরু কোয়ারেন্টাইন ভাঙার অভিযোগ নিয়ে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মাঠে উপস্থিতির পরই। যদিও আগে থেকে আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো আর জোভান্নি লো সেলসোর বিরুদ্ধে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম না মেনে ব্রাজিলে খেলতে গেছেন, এমন খবর শোনা যাচ্ছিল। এরপরও তাদের নিয়েই দল সাজান দেশটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই সূত্র ধরেই ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির একাধিক কর্মকর্তা হানা দেন মাঠে।এনিয়েই বাকবিতণ্ডা হাতাহাতিতে গড়ালে স্থগিত করা হয় ম্যাচটি।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ব্রাজিলের নাগরিক নয়, এমন ব্যক্তিরা যদি ব্রিটেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে সরাসরি প্রবেশ করতে চায়, বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর এ নিয়ম না মানা নিয়েই যত বিপত্তি হলেও লাভ কিন্তু আর্জেন্টিনারই হবে। কেননা, কনমেবলের মতে, ম্যাচটি আয়োজিত না হলে তিন পয়েন্ট পাবে আর্জেন্টিনাই।
মতামত দিন