ঢাবি ও বুয়েটের পাশাপাশি প্রথবারের মতো এই তালিকায় স্থান করে নিয়ে বাকৃবি
“টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং-২০২২”-এ স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ তিন বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এ তালিকার প্রথম ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ৯৩টি দেশের ১৫০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে।
শীর্ষ এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক বছর পর ঢাবি আবারও সেরা ৮০০-১০০০ এর তালিকায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। অন্যদিকে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সেরা ১০০০-১২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকে ১২০০-এর নিচে নেমে এসেছে।
এ বছর প্রথমবারের মতো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) বিশ্বব্যাপী র্যাংকিয়ে ১০০০-১২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়ে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, “শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ধৃতি, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিল্প আয়ের মতো পাঁচটি সূচকের উপর ভিত্তি করে এই র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়।
ঢাবি শিক্ষায় ১০০ এর মধ্যে ১৬.৫ পয়েন্ট (আগের বছর ১৫.৩), গবেষণায় ৮.৪ (আগে ৭.৭), উদ্ধৃতিতে ৬১.৮ (আগের ৩৬.৬ থেকে বেড়ে), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ৪২.৬ (৪২.৪ থেকে বেড়ে) এবং শিল্পের ফলাফলে ৩৫.২ (গত বছর ৩৩.৯) পেয়েছে।
ঢাবি গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি বিভাগে নম্বর বেশি পেলেও গবেষণা খাতে এখনও আগের মতোই নিচের দিকেই আছে।
তবে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা আপাতত কোনো র্যাংকিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করছি না।
তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের ঘাটতি রয়েছে, আমাদের ফোকাস মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত করা এবং ফাঁকগুলো পূরণ করা। তারপর এমনিও র্যাংকিং বাড়বে।”
অন্যদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান এ সাফল্য অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভবিষ্যতে আরও অগ্রগতির জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. লুৎফুল বলেন, “আমরা দুই বা তিন বছরের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের অবস্থান সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করছি এবং এ জন্য আমরা সিলেবাস এবং একাডেমিক ক্রিয়াকলাপে কিছু পরিবর্তন এনেছি।”
করোনাভাইরাস মহামারির পর পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক আরও আধুনিক করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছি এবং বিদেশি শিক্ষক ও গবেষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং গবেষণা কার্যক্রমগুলোতে যুক্ত করা হবে।”
মতামত দিন