ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে নববধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে মিঠু মিয়া (২৩) নাম এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মিঠু উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি হলো- সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়া। সোলায়মান লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। এ ঘটনায় শনিবার হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ জরুরি সভা করে সোলায়মানকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি মিঠু মিয়া চাঞ্চল্যকর ঘটনার দায়স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় প্রথম কোনো আসামি দায়স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও আরজি সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার এক তরুণ এক মাস আগে নিজ গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। গত ২৫ আগস্ট সকালে নববধূ ও এক বন্ধুকে নিয়ে উপজেলার টিক্কা হাওরে ঘুরতে যান তিনি। নৌকাটি হাওরে পৌঁছার পর পূর্বপরিচিত ব্যক্তিদের ৮ সদস্যের একটি দল তাদের নৌকাটি আটক করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর স্বামী ও তার বন্ধুকে বেঁধে নববধূকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি ধর্ষণের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করা হয়। ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “গত বুধবার ধর্ষণের শিকার নববধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই তরুণ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করেন। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলা করেন।”
মতামত দিন