নিজস্ব ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস ল্যাবে গবেষকদের অংশগ্রহণে ধানের এই নতুন জাত উদ্ভাবনের গবেষণা চলছে
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় অঞ্চলে আবাদযোগ্য লবণ সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করে যাচ্ছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) গবেষকরা।
শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের নিজস্ব ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস ল্যাবে ধানের এই নতুন জাত উদ্ভাবনের গবেষণা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) অর্থায়নে পরিচালিত জীব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই লবণসহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনে গবেষণা করা হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও শাবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের যৌথ গবেষণায় লবণসহিষ্ণু ধান উৎপাদনের গবেষণার নতুন নতুন কার্যক্রম চলছে।
পিএইচডি গবেষক মো. নাজমুল হাসান জানান, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা প্রায় বেড়ে চলেছে। ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক জমি লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বিপুল পরিমাণ জমি, ধান চাষের আওতায় আনতে হলে উচ্চফলনশীল লবণ সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন অতি জরুরি। এর অংশ হিসেবে আমরা জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে লবণ সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা করে যাচ্ছি।
“আমাদের দেশের পরিবেশে লবণ সহিষ্ণু ধান উৎপাদন একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমাদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ,” জানান শাবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান।
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ প্রকল্পের সাফল্য কামনা করে বলেন, “সময়ের পালাক্রমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের অনেক আবাদি জমি এখন লবণাক্ততার শিকার। তাই আমাদের লবণ সহিষ্ণু ধান আবিষ্কারের উপর গবেষণা প্রকল্পটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এমনকি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।”
মতামত দিন