গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াসের' সময় পুকুরে জোয়ারের লবণাক্ত পানির সঙ্গে ইলিশের পোনা ঢুকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় একটি পুকুর থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। যে পুকুরে মাছটি পাওয়া যায়, সেটির মালিক উপজেলার হরনী ইউনিয়নের শরীয়তপুর সমাজের বাসিন্দা মো. বেলাল।
রবিবার (২৯ আগস্ট) ভোরে মাছটি পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় হরনী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মাওলানা আবু সাইদ।
পুকুরের মালিক বেলাল জানান, ভোরে পুকুরের পানি সেচ দেওয়ার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে ৩০০ গ্রাম ওজেনের ইলিশ মাছটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় মাইনুদ্দীন বাজারে ইলিশটি বিক্রি করেন।
কয়েক মাস আগে বিভিন্ন পুকুরে জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ে। তার ধরাণা, হয়ত তখনই পুকুরে ইলিশ মাছের পোনা ঢুকতে পারে।
আরও পড়ুন- একবারেই ১৭০ মণ ইলিশ ধরলেন মাঝি, সোনার চেইন দিয়ে বরণ
একই মন্তব্য হরনী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মাওলানা আবু সাইদেরও। তিনি জানান, গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় "ইয়াসের" সময় হরনী ইউনিয়নের দেড় হাজার পুকুরে জোয়ারের লবণাক্ত পানির সাথে ইলিশের পোনা ঢুকে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিক বলেন, ইলিশ মাছ লবণাক্ত ও মিষ্টি পানির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। এই মাছ দৈনিক ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারে। সাধারণত ইলিশ লবণাক্ত পানিতে বাস করে এবং মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করার সময় নোনা পানির সঙ্গে ইলিশের পোনাও প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়া, পুকুরে ইলিশের চাষ নিয়েও গবেষণা চলছে বলে জানান তিনি।
মতামত দিন