এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী হয়েছেন অপহরণের শিকার জাহাঙ্গীর
দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের সময় গ্রেপ্তার সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজনকে বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ তোলা হয়। এরপর বিচারক শিশির কুমার বসু তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সিআইডি পুলিশের রংপুর অফিসের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবীর সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল আহসানুল ফারুখ মিলন, তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস চালক এবং দালাল পলাশকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী হয়েছেন অপহরণের শিকার জাহাঙ্গীর।
এর আগে, মা ও ছেলেকে “অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের” অভিযোগে অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তিন কর্মকর্তাকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয় জনগণ।
আরও পড়ুন- 'অপহরণের পর মুক্তিপণ' আদায়ের সময় এএসপিসহ হাতে-নাতে ধরা ৩ সিআইডি সদস্য
স্থানীয় ও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাসায় যান সিআইডির ওই তিন কর্মকর্তা। এ সময় কষ্টিপাথর পাচারসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে লুৎফর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তারা। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা দেখাতে পারেননি সিআইডির এই তিন সদস্য।
লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহরা বেগম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরে মঙ্গলবার সকালে মা-ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরের ফোন থেকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
দাবি করা টাকা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অপহৃতদের স্বজন মামুন ও আফতাবুর জামান এবং চিরিরবন্দর থানার পুলিশ সদস্য মো. তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন ঠিকানা অনুযায়ী হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁশের হাট এলাকায় যান। স্থানীয় লোকজন তখন সিআইডির সদস্যদের ধরে ফেলেন। পরে তারা চিরিরবন্দর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার সোহাগসহ তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলা করে আদালতে তোলা হয়।
মতামত দিন