এর আগে গত বৃহস্পতিবার মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ
টাঙ্গাইলের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়েদা আমেনা পিংকিকে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহত পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন বাদি হয়ে মোর্শেদসহ ৯ জনেরর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-- টাঙ্গাইল শহরের মুন্সী তারেক পটন (৪৯), পারভজ খান রনি (৩৬), সোহেল ওরফে বাবু (২৭), অনন্ত সূত্রধর (২৭), আতিকুর রহমান মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সুমা (৪৫), মুন্সী তারেক পটনের স্ত্রী লিনা (৪০), ছেলে রাফসান (২৮) এবং আয়নাল মিয়া (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর মোর্শেদের বাসার সামনে সৈয়দ শরিফ উদ্দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে ২০১২ সালের জুন মাসে পিংকিকে অপহরণ করে মোর্শেদের লোকজন। পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোস্তফার মাধ্যমে পিংকিকে বিয়ে করেন মোর্শেদ। তাদের ছয় বছরের একটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন- কাউন্সিলর মোর্শেদ তিন দিনের রিমান্ডে
জানা যায়, বিয়ের কিছুদিন পর কাজী মোস্তফার বালাম বই থেকে বিয়ের কাবিননামা ছিড়ে ফেলেন মোর্শেদ।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালর ২৬ জানুয়ারি রাতে আরেক অভিযুক্ত মুন্সী তারেক পটনের বাসায় দাওয়াতের কথা বলে পিংকিকে নিয়ে যায় মোর্শেদ। সেখানেই তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন পিংকির বাব।
টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমদ জানান, আদালতের বিচারক শামসুল আলম টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে এ বিষয়ে তদন্ত শেষে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে দুইটি বিদশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ও দু’টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে তারা। পরবর্তীতে শুক্রবার (২০ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদর জন্য মোর্শেদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মতামত দিন