সোমবার অভিযুক্তকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় এক প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতনের শিকার মেয়েটির মা রবিবার (২২ আগস্ট) রাতে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্তকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ তাকে শিশু আদালতে পাঠান। এছাড়া ধর্ষণের শিকার শিশুর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে বাবা-মার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
আদালতের জিআরও এএসআই বিলকিস খাতুন ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে শিশু আদালত ওই অভিযুক্ত কিশোররের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমানউল্লাহ জানাতে পারেননি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র গত ১৯ আগস্ট সকালে কেক খাওয়ানোর প্রলোভনে প্রতিবেশী মেয়েটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে ওই কিশোর পালিয়ে যায়। বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় ছাত্রীর মা রবিবার রাতে থানায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সোমবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও জানান, ছাত্রীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে বাবা-মার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি ওই ছাত্রকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মতামত দিন