একইসঙ্গে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের মাঝের যে সময় তা কমিয়ে আনা যায় কিনা সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি পৃথক কর্মসূচি প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের মাঝের যে সময় তা কমিয়ে আনা যায় কিনা সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কারখানায় যে শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই ইন্ডাস্ট্রি, প্রোডাকশন, পণ্যের সরবরাহ এগুলো কখনই বন্ধ করিনি। এই কয়েকটি (ঈদের পর বিধিনিষেধ) দিন ছাড়া। সেজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আমাদের মন্ত্রণালয় একটা চুক্তির মতো করেও ফেলেছে, ছয় কোটি ভ্যাকসিন পাবে সিনোফার্ম থেকে। টিকা পাওয়া গেলেই দ্রুত কীভাবে শ্রমিকদের আলাদা প্রোগ্রামের আওতায় এনে দেয়া যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”
মন্ত্রীপরিষদ সচিব আরও বলেন, “টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনা যায় কিনা সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। অন্য অনেক দেশে আমাদের দেশের থেকে কম সময়ে সেকেন্ড ডোজ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা যায় কিনা সে ব্যাপারেও বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।”
বরিশালে পোস্টার অপসারণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসায় হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, “গতকাল একটি সভা ছিল। এ নিয়ে যখন কথা হয়, তখন উপস্থিত সচিব ও বিভাগীয় কমিশনাররা ওই বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এটা উচিত হয়নি। তারা বলেছেন, এটা ভুল হয়েছে।”
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, “এটা তো আমরা ক্লোজলি পর্যবেক্ষণ করছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে একটা মিস কমিউনিকেশন থেকে এগুলো শুরু হয়। সেটাই ইন্সট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ের সবাইকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকেও বলে দেয়া হয়েছে, ক্যাবিনেট থেকেও বলে দেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা জনপ্রতিনিধি সবাইকে বলা হয়েছে- আপনারা নিয়মিত ইন্টার্যাকশন করবেন। ইন্টার্যাকশন যেখানে কম হয়, সেখানেই এই ধরনের মিস কমিউনিকেশনের বিব্রতকর ঘটনাগুলো ঘটে।”
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “বরিশালের ঘটনা এক্সাক্টলি কী, আমরা জানি না। বলা হয়েছে আপনারা নিজেরা আগে বসেন। বসে দেখেন কী সমাধান করা যায়। আপনারা সমাধান করতে না পারলে, আইন তো আছেই। আপনারা দেখেন এসব ঘটনা কেন ঘটছে?”
মতামত দিন