ফলে মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সড়কপথের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে শুধু পিচঢালাই বাকি রয়েছে
পদ্মা সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব (ডেক স্ল্যাব) বসানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা ১২মিনিটের দিকে পদ্মাসেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে ২,৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে সড়কপথে সর্বশেষ স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ সড়কপথ দৃশ্যমান হলো। ফলে মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সড়কপথের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে শুধু পিচঢালাই বাকি রয়েছে।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানান, ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রথম প্রি-কাস্ট রোডওয়ে স্ল্যাবটি বসানো হয়েছিল। সর্বশেষ স্ল্যাবটি বসানো হলো আজ। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রকল্পের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সবগুলো রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।
তিনি আরও জানান, সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হলেও ৮টি স্থানে ফাঁকা থাকায় সেতুর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যানবাহন নিয়ে যাওয়া যাবে না। পদ্মা সেতু ৭টি মডিউলে ভাগ করা রয়েছে, যেখানে প্রতি দুই মডিউলের সংযোগ স্থলে প্রায় ৩০ ফুট করে ফাঁকা রয়েছে। সাটারিং করে ফাঁকা স্থানগুলোতে ঢালাই সম্পন্ন করতে হবে। স্প্যানগুলোর (ট্রাস) মধ্যে একদিকে জোড়া লাগানো হচ্ছে। অন্যদিকে মডিউলের ফাঁকা জায়গায় স্ল্যাব কাস্টিং করা হবে। ইতোমধ্যে একটি স্ল্যাব কাস্টিং সম্পন্ন হয়েছে, বাকি রয়েছে আরও ১৩টি।
নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, বর্তমানে দুই মডিউলের মাঝে ফাঁকা আছে, যেখানে স্থায়ীভাবে স্টিলের “মুভমেন্ট জয়েন্ট” বসানো হবে। ফাঁকা অংশটা এখন বোঝা যায় না।
গত ২০ জুন পদ্মা সেতুর সকল রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর প্রায় ৯৮.২৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হয়। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে।
মতামত দিন