আগামী তিনদিন চলবে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ
মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টায় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আগামী তিনদিন চলবে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ। এর আগে সকাল ১০ টায় এই মামলার সকল আসামিদের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
মামলায় মোট ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ১৫ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে। এরমধ্যে মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের সাক্ষ দিয়েই শুরু হবে এ মামলার বিচার কার্যক্রম। এ মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন আসামিরা সকলেই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত সোমবার (১৬ আগস্ট) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে আদেশ জারি করেন।
এর আগে গত জুলাই মাসের ২৬, ২৭ ও ২৮ তারিখ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ ছিল। মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারঘোষিত লকডাউনের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই তারিখে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা তিনদিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। গত ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন তুলে নিলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ নতুন করে এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহনের তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর চারমাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রূল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মতামত দিন