তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭টি ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে
ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীর পানি আরও বেড়েছে। তিস্তার পানি দফায় দফায় বৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চার হাজার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গঙ্গাছড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তসলিমা বেগম জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর পানি দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের গ্রামসহ উপজেলার ৩৫টি গ্রাম ২ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাছড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চরইচলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর, বিনবিনা এলাকায় প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিনবিনা এলাকায় কিছু লোক গবাদিপশু, বাড়ির আসবাবপত্রসহ রাস্তায় কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বিনবিনার চর এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে ২-৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় শতাধিক পরিবার শুকনো খাবার খেয়ে দিন অতিবাহিত করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, “কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী বাঁধেরপাড় ও বিনবিনা এলাকায় ১ হাজার ৩০০ পরিবার পানিবন্দি। এসব মানুষকে জরুরিভিত্তিতে খাবার সরবরাহ করা প্রয়োজন।”
লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি ,জয়রামওঝা ও বাগেরহাট এলাকায় ১ হাজার এবং নোহালী ইউনিয়নে ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, মর্নেয়া, সদর ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
মতামত দিন