দৌলতদিয়া যৌনপল্লির পিছিয়ে পড়া কয়েক হাজার বাসিন্দাকে গণটিকার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির পিছিয়ে পড়া কয়েক হাজার বাসিন্দাকে গণটিকার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। যৌনপল্লির বাসিন্দাদের কোনো টিকা কেন্দ্রে না গিয়ে পল্লির পাশেই ক্যাম্প করে তাদেরকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি ভিত্তিক কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দৌলতদিয়া যৌনপল্লি সংলগ্ন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে প্রায় দেড় সহস্রাধিক যৌনকর্মীসহ নানা পেশার মানুষের বসবাস। অত্যন্ত ঘিঞ্জি পরিবেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চরম ঝুঁকি রয়েছে এ পল্লীতে। কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা অত্যন্ত অসচেতন ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী। তাই সারা দেশে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হলেও দৌলতদিয়া পল্লী হতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের গণটিকার আওতায় আনতে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজিজুল হক খান মামুন জানান, অন্যান্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় (যৌনপল্লি) করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। কারণ এখানে একদিকে অত্যন্ত ঘনবসতি, অপরদিকে সারাদেশ থেকে মানুষ এখানে আসা-যাওয়া করে। কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই অসচেতন। তাই তারা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণে তেমন আগ্রহী না। তাই পল্লির পাশেই তাদের কোভিড টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে আশা করছি এখানকার শত ভাগ মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসিফ মাহমুদ জানান, টিকার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি সম্পূর্ণ করছে বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা। এরপর আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুততার সাথে তদের টিকা প্রদান করে দিচ্ছেন।
মতামত দিন