গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অর্থাভাবে বর্তমানে বাড়িতেই রাখা হয়েছে তাকে
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্কুল শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) সিতাইকুন্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটেগুরুতর আহতাবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছে ওই শিক্ষার্থী।
তৌফিক জামান উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের সিতাইকুন্ড গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (১১ আগস্ট) সিতাইকুন্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছাত্রদের মাঝে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তামিম হোসেন হাওলাদারের সাথে তৌফিক জামান মৃদুলের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তামিম তৌফিককে লাথি মারে। এ সময় তৌফিকও তামিমকে লাথি মারে। খেলার মাঠে এ দৃশ্য দেখে তামিমের পিতা স্কুল শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন দৌড়ে মাঠে গিয়ে তৌফিককে বেধড়ক মারধর করে। মারধরে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে অর্থের অভাবে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই বাড়ি নিয়ে আসে তার পরিবার। তৌফিক বর্তমানে বাড়িতে শয্যাশায়ী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ৫২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তৌফিককে মারধরের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “তৌফিক আমার ছেলে তামিমকে মারধর করায় আমি তাকে মারধর করেছি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।”
তৌফিকে চাচা হাফিজুর রহমান বলেন, “একটি এতিম ছেলেকে এভাবে মারধর করা একজন শিক্ষকের পক্ষে কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ছেলেটা এখনও অসুস্থ। হাঁটতে চলতে পারেনা। মাথায় প্রচন্ত ব্যথা। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।”
সিতাইকুন্ড নেছারউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তছির আহম্মেদ বলেন, “তৌফিক ভালো একজন ছেলে। ভালো খেলোয়াড়। তাকে যে ভাবে মারধর করেছে এটা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা তাকে মারধরের সুষ্ঠ বিচার চাই।”
এ ঘটানায় অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এস আই) মুরাদ হোসেন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মতামত দিন