তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে মিজু আহমেদ (৩৫) নামে এক ভ্যানচালককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ফরজ আলী নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ভ্যানচালক ওই ইউপি সদস্যের স্ত্রীর মামাতো ভাই।
সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ক্ষরসতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই ফজর আলী সরকারকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের ক্ষরসতি বাজারে ইউপি সদস্য ফজর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী রেখার দোকানে যান মিজু। এ সময় ফজর আলী দোকানে ঢুকেই মিজুকে বেদম মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। মিজুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মারধর বন্ধ করা হয়।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে গুরতর আহত অবস্থায় মিজুকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম বলেন, “আমার বোন রেখাকে ইউপি সদস্য ফজর আলীর সাথে ১৭-১৮ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার কোনো খরচ দেয় না ফজর। মিজু আমার মামাতো ভাই। তাকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে।”
এ বিষয়ে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, “এ খবর পাওয়া মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে যাই। ভ্যানচালককে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছোট বিষয় হলে আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে পারতাম। কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে প্রহার করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় ওই রাতেই মিজুর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে সিংড়া থানায় অভিযোগ করে দায়ের করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কিশোর কুমার পাল বলেন, “ঘটনায় জড়িত থাকায় সোমবার রাতেই একজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক।”
মতামত দিন