চাঁদাবাজি মামলার আসামি হিরক আহম্মেদ জনিকে গ্রেপ্তার করলে তাকে ছিনিয়ে নিতে তার পৌর কাউন্সিলর ভাই লোকজন নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চাঁদাবাজির মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। সোমবার (১৬ আগস্ট) মধ্যরাতের এ ঘটনায় পৌর কাউন্সিলর ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা সাহাপাড়ার মৃত জাহেদ আলী সরদারের বড় ছেলে হিরক আহম্মেদ জনি (৩৮) ও ছোট ছেলে সারিয়াকান্দি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আপেল মাহমুদ রনি (৩৫)।
সারিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া জানান, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার রাতে কুপতলা সাহাপাড়া গ্রামের অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়ি থেকে চাঁদাবাজি মামলার আসামি হিরক আহম্মেদ জনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জনিকে ছিনিয়ে নিতে তার ভাই পৌর কাউন্সিলর আপেল মাহমুদ রনি ও তার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের মারধরে এসআই বাবর, এএসআই কামরুল, কনস্টেবল মাহবুব ও রুবেল আহত হন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জনি ও তার ভাই রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জনির বিরুদ্ধে সারিয়াকান্দি ও গাবতলী থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে। এসআই কাজী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে পৌর কাউন্সিলর আপেল মাহমুদ রনিকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারের সময় আহত জনি ও রনিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মতামত দিন