নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা আন্ডারচর ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে হারুনুর রশীদ মোল্লা নামে এক বিএনপি নেতাকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন আরও দুইজন।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় আন্ডারচর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড়ভাই আমিনুল হক জানান, হারুনুর রশীদ মোল্লা আন্ডারচর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। কিছুদিন আগে হারুনের ছেলে সজিবের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের অস্ত্রধারী ক্যাডার।
ওই ঘটনার জের ধরে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকে সজিবকে খুঁজতে থাকে। এই খবর পেয়ে সজিবের বাবা বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ মোল্লা স্থানীয় চৌকিদার বাজারে যাওয়ার পথে তালতলা নামক স্থানে ওঁৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারী যুবকেরা প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং পরে গুলি কর মারাত্মক আহত করে।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা ভাতিজা রমিজ উদ্দিনকে (২৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সন্ত্রাসীরা। অস্ত্রধারী যুবকেরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এ নিয়ে যায়।
আমিনুল হক আরও জানান নিহত হারুনুর রশীদ মোল্লা ২০১১ সালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে আন্ডারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন এবং ২০১৬ সালে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তার এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাশীল দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে বলে তার বড়ভাইয়ের ধারণা।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকরামুল হক জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে কারা এবং কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মতামত দিন