জামিন পেলেন না পরীমণি, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় অভিনেত্রী পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি পরীমণি ও দীপুকে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে পরীমণির আইনজীবী তার জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমণি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উভয়পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল পরীমণি ও দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে দু’দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাদের।

মঙ্গলবার পরীমণি ও দীপুর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার আগে গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র‍্যাবের সদরদপ্তরে। ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। সেদিনই তাদের আদালতে নেওয়া হয়।