ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার জন্য ভোলার চরফ্যাশন থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন তারা
মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে নৌযান বিকল হয়ে সমুদ্রে ভাসতে থাকেন ১৫ মৎস্যজীবী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান। তথ্য পেয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে কোস্ট গার্ড।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নোয়াখালীর ভাসানচরের কাছাকাছি ঠেঙ্গারচরের কাছাকাছি একটি জায়গায় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ৯৯৯।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ৯৯৯ নম্বরে ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি ভাসানচরের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগর থেকে ফোন করে জানান, তিনিসহ মোট ১৫ জন মৎস্যজীবী তিন দিন আগে (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পরে একটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার জন্য ভোলার চরফ্যাশন থেকে গভীর সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন।
বুধবার দুপুরের দিকে তাদের নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তারা ইঞ্জিন ঠিক করতে পারেননি। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে থাকায় তারা কাউকে এ বিপদের কথা জানাতেও পারেননি। এরপর তারা নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় সাগরে ভাসতে থাকেন।
অবশেষে বিকল নৌযানটি ভাসতে ভাসতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান ইব্রাহীম নামে একজন। তখন তারা তখন উপকূল থেকে গভীর সমুদ্রের আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিলেন।
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কোস্ট গার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
খবর পেয়ে ভাসানচর থেকে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল রওনা হয় সমুদ্রে বিকল নৌযান চিহ্নিত করার জন্য। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোস্টগার্ড বিকল নৌযানটিকে খুঁজে পায় এবং বিকল নৌযানটিসহ ১৫ জন জেলেকে উদ্ধার করে নিরাপদে ভাসানচরে নিয়ে আসে।
মতামত দিন