পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ভারী যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া রুটে
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে চাপ বেড়েছে। পাড়ের অপেক্ষায় থাকা গাড়ির চাপে ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহনের যাত্রী, চালক ও সহকারীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
লকডাউন প্রত্যাহেরর পর বুধবার থেকে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতির পর থেকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ে। তবে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কমলেও বেড়ে গেছে পণ্যবাহী গাড়ির লাইন।
বুধবার বিকাল থেকে অপেক্ষা করেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ফেরি পার হতে পারেনি অনেক পরিববহন। দীর্ঘ সময় ধরে মহাসড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে চালক ও শ্রমিকদের। টয়লেট, পানি ও খাবারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চালক-শ্রমিকদের ভোগান্তি চরমে। এ ছাড়া সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে লোকসানও গুনতে হচ্ছে।
গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই বিনয় কুমার জানান, লকডাউন শিথিল হওয়া এবং দুই রুটের গাড়ি এক রুটে আসায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরি পার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া মাওয়া থেকে আরও তিনটি বড় ফেরি আজই এই রুটে যোগ হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে ভরা বর্ষার কারণে অনেকে ঝুঁকি এড়াতে লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে চলাচল করছে।
মতামত দিন