এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে
কুষ্টিয়ার মিরপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজি জান্নাতুল ফেরদৌসকে (৬) গলা কেটে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে দেন ফুফু জহুরা খাতুন। এ ঘটনায় পুলিশ জহুরাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান শাহাপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল। গ্রেপ্তার জহুরা খাতুন জাহিদুলের ছোট বোন।
পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, “বুধবার (১১ আগস্ট) রাতে শিশু জান্নাতুলকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ফুফু জহুরাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে হত্যা করে ধানক্ষেতে লাশ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “জান্নাতুলের মা আখি বেগমের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ননদ জহুরাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে চরম ক্ষুব্ধ হন। বুধবার বিকালে ফুফুর বাড়িতে খেলতে যায় জান্নাতুল। এ সময় জহুরা কৌশলে তাকে রান্না ঘরে ডেকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। লাশ গুম করার জন্য প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেন।”
এর আগে বুধবার বিকালে জান্নাতুল ফেরদৌস নিখোঁজ হয়। রাত ৯টার দিকে মশান শাহপাড়ার বাইপাস ক্যানেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সংবাদ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
মতামত দিন