ফাঁসি বা ফায়ারিং স্কোয়াডে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ হয়।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ মামলার রায়ে গুলি করে ১০ আসামীর প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এছাড়াও চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।
আসামিদের ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি বছর ১৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সবার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
সোমবার প্রকাশিত ৮৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোনো পদ্ধতি (ফায়ারিং স্কোয়াডে বা ফাঁসে ঝুলিয়ে) অনুসরণ করে দণ্ডিত ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারবে।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয়জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
মতামত দিন